,

প্রকাশিত প্রতিবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

নবীগঞ্জ সদর ইউ/পি সদস্য নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ায় এলাকাবাসীর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ’ শিরোনামে দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রতিবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর বটে। আমি ওই মিথ্যা মানহানিকর প্রতিবাদটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। আমি শাহ আলম গরীব, দুঃখি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদ করে আসছি। বাকী জীবনেও করে যাব ইনশাহ আল্লাহ্। আমি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যে অভিযোগ দিয়েছি তা সম্পূর্ণ সত্য। আমি আশা করি, সঠিক তদন্ত করলে তার সত্যতা পাওয়া যাবে। আমার জানা মতে মেম্বার নজরুল ইসলাম তার মা-বাবার একজন অবাধ্য সন্তান। সে তার মা-বাবাকে ফেলে শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে। যা এলাকার অনেকেরই জানা রয়েছে। ঘর জামাই হিসেবে থাকার সুবাধে তার শ্বশুর জীবিত অবস্থায় তার স্ত্রীর নামে একটি বাড়ি দানপত্র করে দেন। বর্তমানেও শ্বশুরের দেওয়া দানপত্র বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মেম্বার নজরুল ইসলাম। তার কোন বাড়ি নাই। সে তার মামা শ্বশুরের জমি তার শ্বাশুরির নামে রেকর্ড করে শ্বাশুরিকে দিয়ে বিক্রি করে দেন। যার মূল দলিল তার মামা শ্বশুরের নিকট রয়েছে। ২নং বেতাপুর গ্রামের মনাই মিয়ার মৃত ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা প্রতারনা করে নিয়ে যায়। পরে মনাই মিয়ার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার পর যাদের কাছ থেকে ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন মেম্বার নজরুল ইসলাম, তাদেরকে নাটকীয় ভাবে তহশীল অফিসে ভূমিহীনদের তালিকায় নাম অন্তভুক্ত করেন। প্রকাশিত প্রতিবাদকারী মোঃ সুন্দর মিয়া নিজেও একজন অভিযোগকারী। বিগত ২৯/১২/২০১৬ইং তারিখের ১০ টাকা কেজি চাল আত্মসাতের জন্য মেম্বার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোঃ সুন্দর মিয়া সহ ১৪ জন মিলে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছিলেন। বিগত ২৯/১২/২০১৬ইং তারিখে মোঃ সুন্দর মিয়াসহ ১৪ জন মিলে মেম্বার নজরুল ইসলামকে চাল চোর বলে গালিগালাজ করেন। এখন ২১/১০/২০২০ইং তারিখে মেম্বার নজরুল ইসলাম চাল চোর থেকে পীর হলেন কি করে? যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবাদ করেছিলেন তাদের মধ্যে চুনু মিয়া নজরুল মেম্বারের মামাতো ভাই হন। এমনকি ময়নুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম তারই আপন ভাই। তারা মেম্বার নজরুলের মাধ্যমে সব ধরণের সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন। যার কারণে তারা আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা প্রতিবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এমনকি যারা আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট প্রতিবাদ প্রকাশ করে আমার মানহানি করার এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। তারা কি আদৌ সত্য বলছেন, নাকি তা সাজানো নাটক। যদি তারা সত্য বলে থাকেন তাহলে তাদের কাছে আমার অনুরোধ তারা যেন সঠিক প্রমানাদী আমার কাছে উপস্থাপন করেন। অন্যথায় আমি আইনের আশ্রয় নিবো।
প্রতিবাদকারী
মোঃ শাহ আলম
পিতা- শাহ ফিরোজ মিয়া
সাং- সরিষপুর, নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন।


     এই বিভাগের আরো খবর